লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন কারাগারে

প্রথম পাতা » জাতীয় » লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন কারাগারে
বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪



লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন কারাগারে

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় আত্মসমর্পণের পর হোটেল লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত বুধবার এ আদেশ দেন।

এদিন আসামি আমিন আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক এবং হোটেল লা মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদ।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৮ আগস্ট বেস্ট হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের সঙ্গে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অধীন ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার লালসরাইস্থিত মৌজার ৬নং প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কেনার জন্য সমঝোতা চুক্তি করেন বাচ্চু। চুক্তি অনুযায়ী মূল্য ধরা হয় ১১০ কোটি টাকা। পরে চুক্তিপত্র অনুযায়ী ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর দুটি দলিল মোতাবেক ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ৮০৮৮৫ নং দলিলে ১৮ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি হয়। যার মূল্য ধরা হয় ৯ কোটি টাকা। এ দলিলের গ্রহীতারা হলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও স্ত্রী শিরিন আক্তার। অপরদিকে ৮০৮৮৬ নং দলিলে ১২ দশমিক ২৫ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মূল্য ধরা হয় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এ দলিলের গ্রহীতা আব্দুল হাই বাচ্চুর দুই ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। তাই দুটি দলিলে জমির রেজিস্ট্রেশন মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অথচ জমি ক্রয় বাবদ আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সর্বমোট ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ, অর্থাৎ মোট ১১০ কোটি টাকা আসামি আমিন আহমেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অনুক‚লে পরিশোধ করেন। যা আসামি আমিন আহমেদ বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বীকার করেন। আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু তার স্ত্রী, ভাই ও সন্তানদের নামে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর, রূপান্তর, ছদ্মাবরণের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন করেছেন। আর ১১০ কোটি টাকায় কেনার পরও ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় দলিল করে আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। আসামি আমিন আহমেদ আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর অবৈধ অর্থ বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন। এর মাধ্যমে আসামিরা অর্থ পাচার আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ৪:০৭:০২   ১৮৯ বার পঠিত  




জাতীয়’র আরও খবর


আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোই সভ্য গণতান্ত্রিক পথ: তারেক রহমান
বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়: প্রধান বিচারপতি
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো পুলিশ
হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, বাদীর জেরা ১০ নভেম্বর
সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাবেক মন্ত্রী মায়া ও পরিবারের ৮১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
তিন শতাধিক বিচারককে জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ