অবস্থা আশঙ্কাজনক ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তদের গুলি

প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » অবস্থা আশঙ্কাজনক ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তদের গুলি
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫



ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তদের গুলি

দুপুর ২টা ২৪ মিনিট। সবেমাত্র জুমার নামাজ শেষে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি। ছুটির দিনটিতে রাজধানীর ফকিরেরপুল বক্স কালভার্ট রোড থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের দিকে এগুচ্ছিলেন তিনি। ফাঁকা রাস্তায় চলন্ত অটোরিকশায় বসেই মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন হাদি। এসময় মোটরসাইকেলে তার অটোরিকশার পেছন পেছন অনুসরণ করছিল দুই দুর্বৃত্ত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসা কালো চাদর পরা এক দুর্বৃত্ত আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে বিজয়নগরের দিকে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিয়ে অটোরিকশায় লুটিয়ে পড়েন এই জুলাইযোদ্ধা। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিটি তার কানের নিচ ভেদ করে মাথার ভেতরে চলে যায়। ফিনকি দিয়ে রক্তস্রোত শুরু হয় তারা মাথা থেকে। রক্ত অটোরিকশা গড়িয়ে সড়কে পড়ে। গুলির শব্দে তৎক্ষণাৎ হতবিহ্বল হয়ে পড়েন পথচারীরা। ওই অটোরিকশাযোগেই তাকে দ্রুত নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিউরো সার্জারি বিভাগে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। বের করা হয় গুলি। এরপর তার শারীরিক অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাদিকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।

তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর আগে হত্যার হুমকি পেয়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন ওসমান হাদি। ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস। বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আমরা ঘটনার আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টা ২৪ মিনিটের দিকে একজন সঙ্গীকে নিয়ে অটোরিকশায় চেপে হাদি বক্স কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির দিকে যাচ্ছিলেন। রিকশার ডানপাশে বসেছিলেন হাদি। রিকশার পেছন পেছন কালো রঙের একটি মোটরসাইকেলে চেপে দুজন যুবক তাদের অনুসরণ করছিল। হাদির রিকশার ঠিক পাশ দিয়ে যাচ্ছিল মোটরসাইকেলটি। আর তার পেছনে ছিল দুটো সিএনজি অটোরিকশা। হাদিকে বহন করা রিকশাটি ২টা ২৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সময় বায়তুস সালাহ জামে মসজিদের উল্টোপাশে ডিআর টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে মতিঝিলের দিক থেকে আসা ওই মোটরসাইকেলটির আরোহীর সিটে বসে থাকা যুবকটি তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে ক্লোজ রেঞ্জ থেকে হাদির মাথা টার্গেট করে একটি গুলি চালায়। শুটার এতটাই নিশ্চিত হয়ে গুলি চালায় যে, ওই একটামাত্র গুলিই হাদির কানের পাশ দিয়ে মাথার ভেতরে ঢুকে যায়। গুলি ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেউ বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যায় তারা। তাদের দুজনেরই মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক ছিল। ওই সময় হাদির সঙ্গে থাকা তার সঙ্গী চিৎকার দিয়ে ওঠে। বলে- হাদি ভাইকে গুলি করছে। ওই সময় এলাকাটিতে দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য ইমরান হোসেন হৃদয় বলেন, টায়ার ব্লাস্টের মতো শব্দ পেয়ে দৌড়ে এসে দেখি, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন রিকশায় পড়ে আছেন। তার সঙ্গে আরেকজন ছিলেন। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাদির এক সহকর্মী বলেন, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে সঙ্গীদের নিয়ে মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় যান ওসমান হাদি। সেখানে জুমার নামাজ আদায় শেষে নিজের নির্বাচনী প্রচারণার লিফলেট বিতরণ করেন। এরপর ইঞ্জিনচালিত একটি রিকশায় চেপে বিজয় নগরের বক্স কালভার্ট রোড হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার শেষে নির্বাচনী প্রচারণায় বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রিকশা বক্স কালভার্ট রোডের আবেদ হোল্ডিংস লিমিটেডের ডিআর টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে মোটরসাইকেলে আসা দু’জন ব্যক্তি খুব কাছ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সজোরে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইসরাফিল ফরায়েজী বলেন, হাদিকে গুলি করা দুর্বৃত্তরা গত কয়েকদিন ধরে হাদির নির্বাচনী প্রচারণার ক্যাম্পে যুক্ত ছিল। তারা বলেছিল তারা হাদি ভাইয়ের কার্যক্রম পছন্দ করে। তারা সবসময় মাস্ক পরে আসতো। জুমার নামাজও তারা হাদি ভাইয়ের সঙ্গে একই মসজিদে পড়েছিল। এরপর তারা মতিঝিল ওয়াপদা মাদ্রাসা এলাকায় হাদির সঙ্গেই লিফলেট বিলিতে অংশ নেয়। তাদের একজনের গায়ে কালো পাঞ্জাবি, কালো মাস্ক, গলায় চাদর এবং পরনে আকাশি রংয়ের প্যান্ট ছিল। অন্যজনের গায়ে কালো ব্লেজার, কালো মাস্ক, চোখে চশমা, পায়ে চামড়ার জুতা ছিল। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হাদিকে যারা গুলি করেছে তাদের দু’জনের গায়েও ঠিক একই রকম জামা-কাপড় ছিল।

এদিকে মাথায় অস্ত্রোপচার চালানো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান জাহিদ রায়হান সাংবাদিকদের বলেন, হাদির দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। উনি সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থায় আছেন, কিন্তু বেঁচে আছেন এখনো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। তার খুলি খুলে রাখা হয়েছে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা খুলি খুলে ফেলে মগজের ভেতরের রক্তটা বের করে দিই, যেন মগজের ভেতরে যে চাপটা আছে, তা কমার সুযোগ পায়, ব্রেইন বড় হওয়ার সুযোগ পায়। এটাই এ ধরনের রোগীর ম্যানেজমেন্ট। ওই অস্ত্রোপচার করে ভালো আইসিইউ সাপোর্টের জন্য স্বজনদের মতামতের ভিত্তিতে এভারকেয়ারে পাঠানো হয়। গুলিটা কী ভেতরে রয়ে গেছে, নাকি বেরিয়ে গেছে জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, খুব সম্ভবত বেরিয়ে গেছে। আর গুলি যদি মগজের ভেতরে রয়ে যায়, ওটা একদম মগজের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সেখানে ‘অ্যাপ্রোচ’ করার কোনো প্রয়োজন নেই, ওটা করাও হয় না। গুলি মূলত ডানদিক দিয়ে ঢুকছে; বামদিক দিয়ে বের হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি, বুলেটটা হাড্ডি ভেঙে বেরিয়ে গেছে। বুলেটের কিছু ছোট ছোট অংশ মাথার ভেতর রয়ে গিয়েছিল। আমরা যখন অস্ত্রোপচার করেছি, তখন আমরা সেগুলো বের করেছি, সংরক্ষণও করেছি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাথায় বুলেটের আঘাতের সঙ্গে ওসমান হাদির বুকে ও পায়েও আঘাত আছে। ধারণা করা হচ্ছে- পায়ের আঘাতটা রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে হতে পারে। আমরা ঢাকা মেডিকেলে একটা প্রাথমিক সার্জারি (অস্ত্রোপচার) করেছি। তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তার লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে সিএমএইচ-এ নেয়ার কথা উঠলেও রাত ৭টার পর তাকে এম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাত ৮টা ৬ মিনিটের দিকে তাকে বহন করা এম্বুলেন্সটি এভারকেয়ার হাসপতালে পৌঁছায়। সেখানেই তার চিকিৎসা হবে।

এদিকে খবর পেয়ে গুলিবিদ্ধ হাদিকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদ্য সাবেক তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, এবি পার্টির সভাপতি মজিবর রহমান মঞ্জুসহ নেতাকর্মীরা। মেডিকেলের ভেতরে অঝোরে চোখের পানি ঝরতে দেখা যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর।

হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার: শরীফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে এমন সহিংস হামলা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আহত ওসমান হাদির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। জনগণের নিরাপত্তা ও প্রার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। দোষীরা যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।

ফেসবুকে যে আশঙ্কা লিখেছিলেন হাদি:এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে গত মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ই নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি লেখেন- তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুন দেয়া এবং তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে। গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে হাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, ‘যেহেতু ঢাকা-৮ এ আমার পোস্টার-ফেস্টুন কিছুই নাই, তাই আমার এখন ছেঁড়া-ছিঁড়িরও চাপ নাই। দুদকের সামনে থেইকা জুম্মা মোবারক।’

বাংলাদেশ সময়: ৩:৪৪:২৮   ৬ বার পঠিত  




প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত: প্রধান উপদেষ্টা
অবস্থা আশঙ্কাজনক ওসমান হাদিকে দুর্বৃত্তদের গুলি
আইনি লড়াইয়ে বিদেশি আইনজীবী চাইলেন সালমান-আনিসুল
রাজধানীতে মা-মেয়ে হত্যা: স্বামীসহ গৃহকর্মী রিমান্ডে
‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সচিবালয়ের ১৪ কর্মকর্তা–কর্মচারীর পাঁচ দিনের রিমান্ড
চিকুনগুনিয়া বাংলাদেশসহ চার দেশে মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের প্রতি ভারত কি অবস্থান বদলাচ্ছে?
অমুসলিম বিদেশিরাও সৌদিতে মদ কিনতে পারবেন, তবে…
কারাবন্দী ৪ সাংবাদিকের মুক্তি চেয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সিপিজের চিঠি
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকের পর যা বললেন সিইসি

Law News24.com News Archive

আর্কাইভ