
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ‘ক্যামেরা ট্রায়ালের’ মাধ্যমে এ জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এটিই প্রথম কোনো জবানবন্দি, যা ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এ এই মামলার বিচার চলছে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রায়াল শেষে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালে শুধু আইনজীবী, আসামি ও সাক্ষী ছাড়া কেউ উপস্থিত থাকেন না। সেভাবেই আজ এই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, যারা এই ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী হবেন, তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও আদালতের। সেই আঙ্গিকে কোনো সাক্ষীকে ভয়ভীতি যাতে না দেখানো যায়, তার পরিচিতি যাতে উন্মুক্ত হয়ে না পড়ে, ভবিষ্যতে যাতে অন্য কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে হুমকি বোধ না করেন; সে জন্যই এভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
গত ২ নভেম্বর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। গণ-অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়া শহরে ছয়জনকে হত্যাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। আজ এ মামলায় ‘ক্যামেরা ট্রায়ালের’ মাধ্যমে প্রথম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০:১৩:৫৫ ১০ বার পঠিত