বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

হিন্দু বোর্ডে মুসলিমদের কি সদস্য হতে দেবে সরকার?যদি না দেয়, তবে ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?’ : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » হিন্দু বোর্ডে মুসলিমদের কি সদস্য হতে দেবে সরকার?যদি না দেয়, তবে ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?’ : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫



ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, ‘হিন্দু দেবোত্তর বোর্ডের সদস্য হিসেবে কোনো মুসলিমকে কি সদস্য হতে দেবে সরকার? খোলাখুলি বলুন। যদি না দেয়, তবে ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু কেন?’

---

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতে সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকর করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন করা হয়েছে।

বুধবার সে রকম ৭৩টি আবেদন একত্রিত করে শুনেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।

সেই শুনানিতে নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।  ওয়াকফ এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বা দানের কাজে ব্যবহৃত সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে গণ্য হয়।

এসব সম্পত্তির কাগজপত্র না থাকলেও ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ আইনে মুসলমানদের বলে গণ্য হয়। তবে নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ বা সরকারি জমি, অর্থাৎ কাগজপত্র আছে, এমন জমিতে এটি প্রযোজ্য হবে না।

পিটিশন আবেদনকারীদের পক্ষে কপিল সিবাল নামে এক আইনজীবী বলেন, ওয়াকফ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কয়েক হাজার বছর আগে ওয়াকফ তৈরি হলেও এখন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে।

এটি বড় সমস্যা ও সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে।

তিনি আরো বলেন, ওয়াকফ বোর্ডে জেলা প্রশাসককে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারের অংশ। তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা অসাংবিধানিক হবে।

পিটিশন আবেদনকারীদের আরেক আইনজীবী অভিষেক সিংভি জানান, ভারতের ৮ লাখ ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে ৪ লাখই ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’।

এটা অনেক পুরনো ও এসব সম্পত্তির ক্ষেত্রে কারও কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। নতুন আইনে এসব সম্পত্তির বৈধ কাগজ চাওয়া হবে। আর কেউ কাগজ দিতে না পারলে তাতে রাষ্ট্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, দিল্লি হাইকোর্টও ওয়াকফ জমির ওপর তৈরি। অর্থাৎ সব ওয়াকফ বাই ইউজার বা ব্যবহারভিত্তিক ওয়াকফ ভুল নয়। এই জমি ওয়াকফ সম্পত্তির অংশ, এই জমির কোনো কাগজপত্র নেই। যেহেতু আদালত এই জমি ব্যবহার করছে, সেহেতু আদালত এই জমির মালিক।’

তিনি আরো বলেন, বেশির ভাগ মসজিদ চতুর্দশ, পঞ্চদশ শতকে তৈরি। তাদের নথি দাখিল কী করে সম্ভব? ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী কোনো স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার আবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়।-কালের কন্ঠ

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪:১০   ১০০ বার পঠিত